হ্যাট্রিকের পথে মমতা, ২০০-র বেশি আসনে এগিয়ে তৃণমূল

গণনার শুরুটা হয়েছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দিয়ে। তবে ছক ভেঙে পোস্টাল ব্যালটেই তৃণমূলের এগিয়ে থাকার প্রবণতা শুরু থেকেই দেখা গিয়েছিল। বেলা বাড়তেই এগিয়ে থাকার নিরিখে ব্যবধান বাড়াতে থাকে তৃণমূল। দুপুর ১২টা বাজতেই বাংলার ভোট কাঙ্খিত লক্য ছুঁয়ে ফেলে তৃণমূল কংগ্রেস। ট্রেন্ডের নিরিখে ২০০-র বেশি আসনে এগিয়ে যায় তৃণমূল। সরকার গড়ার স্বপ্ন তো দূর, ১০০-র বেশ কিছুটা আগেই থমকে যাওয়ার পথে বিজেপি। পর্যুদস্ত বাম-কংগ্রেস ও আইএসএফ-এর জোট সংযুক্ত মোর্চা। তবে, একুশের ভোটের নজরকাড়া কেন্দ্র নন্দীগ্রামে পিছিয়ে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ষষ্ঠ রাউন্ডের শেষেও সেখানে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী।

এছাড়াও মমতার দ্বিতীয় মন্ত্রিসভার বেশিভারভাগ মন্ত্রীরাই ভোটে গণনায় এগিয়ে রয়েছেন। বিপুল ভোটে জয়ের পথে কসবার তৃণমূল প্রার্থী জাভেদ খান। ভালো ব্যবধানে এগিয়ে সুব্রত মুখপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, সুজিত বসু, মন্টুরাম পাখিরা, শশী পাঁজারা। ভবানীপুরে পিছিয়ে বিজেপির রুদ্রনীল ঘোষ। এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সুজন চট্টোপাধ্যায়কে ছাপিয়ে যাদবপুরে এগিয়ে তৃণমূলের দেবব্রত মজুমদার।

দেশের একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত ছিলই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় মোট ২৯৪টি আসনের মধ্যে ম্যাজিক ফিগার (১৪৮ আসন) পেতে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। এবিপি আনন্দ সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী তৃণমূল পেতে পারে ১৫২ থেকে ১৬৪টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ১০৯ থেকে ১২১টি আসন। জোট পেতে পারে ১৪ থেকে ২৫টি আসন। জি নিউজের সমীক্ষায় বিজেপি পেতে পারে ১৪৪টি আসন, তৃণমূল ১৩২টি আসন, জোট পেতে পারে ১৫টি আসন। আবার ইন্ডিয়া টুডের সমীক্ষাতেও জোর লড়াইয়ের ইঙ্গিত। বিজেপি ১৩৪ থেকে ১৬০টি, তৃণমূল পেতে পারে ১৩০ থেকে ১৫৬টি আসন, এমনই ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস